#অফুরন্ত @সেলিম






 জীবনের চলার পথে বহু ঘাত পতিঘাতের সম্মুখিন হলেও, আপন্নতের উপভোগ এক অনন্নতা সৃষ্টি করে।  কোন কিছুকে একান্ত আপন করে পাওয়ার আনন্দ তেমনি অনন্নতার রুপক। এক নিরবিছিন্ন জীবনের সুখের প্রলেপ  এতটাই ক্ষীণ যে অল্পতেই ঘনীভূত হয়ে নিজ অস্তিতের লয় করে।  


    আজকের ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তুহিন ,  ক্লাসের সব থেকে নড়বড়ে ছেলে। সবার পিছনে দাঁড়িয়ে সবার হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলানো ওর গুণ ছিল। নিজের মত দেওয়ার চেষ্টা করার কথা ভাবনাতে আসলেও প্রকাশ করার ক্ষমতা ছিল না; কারণ তাঁকে সবার সামনে অপদস্ত হতে হয়েছিল আগেরবার। তাই আর সাহস করে বলে উঠতে পারেনি।  নিজের মনের কথা গুল চেপে রেখে দিত, ভয় ছিল যদি কারোকে বলি আর সেটা নিয়ে  কেউ উপহাস করে বসে, তাই নিজের মধ্যে বাঁচতে শুরু করেছিল। এই ভাবেই কেটে গেল কতগুলো বছর। চুপ করে থাকাটা এক সময় অভ্যাসে পরিণত হল।  দিন দিন সে উপলব্ধি করতে থাকে যে তার উপস্থিত গুণ আর অর্জিত জ্ঞান কোন কাজের উপযোগী না। হয়তো তার জীবনের পরন্ত গোধূলির উপস্থিতি ক্ষণিক দূরে বাস করছে। পড়াশুনাটাও ততোটা ভাল চলছিলো না। পড়াশুনা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও ক্ষমতা ছিল না এটা বাড়ির মানুষ গুলোকে বলার। তাই সে মনে মনে সিধান্ত নেয়,' যা হবে দেখা যাবে'। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বন্ধ করবে বললেই কি বন্ধ হই! কলেজ শেষের কয়েকমাস তাঁর অস্তিত্বহীন জীবনটাকে  আলো প্রলয়ে ভরিয়ে দিতে আসে ' শিল্পা'। 

    এই প্রথম তার জীবনে বসন্তের প্রলেপ পরেছিল। নিজের সমস্ত দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার গভীর ইচ্ছা জাগল । শিল্পা তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তুহিনের সরলতা শিল্পাকে আকর্ষিত করেছিল ভীষণ ভাবে।  সেই প্রথমবার তুহিন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু। এই ভাবে কেটে যাই কয়েক মাস। তুহিন শিল্পাকে নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের আশাই পড়াশুনা চালিয়ে যায় খুব ভালভাবে। কিন্তু.............................................................................. 

পরবর্তী পাঠ অনুজ্ঞাধিন।

Comments

Popular posts from this blog

অভিযোগ

#Culturedmodernsociety