জীবনের চলার পথে বহু ঘাত পতিঘাতের সম্মুখিন হলেও, আপন্নতের উপভোগ এক অনন্নতা সৃষ্টি করে। কোন কিছুকে একান্ত আপন করে পাওয়ার আনন্দ তেমনি অনন্নতার রুপক। এক নিরবিছিন্ন জীবনের সুখের প্রলেপ এতটাই ক্ষীণ যে অল্পতেই ঘনীভূত হয়ে নিজ অস্তিতের লয় করে। আজকের ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তুহিন , ক্লাসের সব থেকে নড়বড়ে ছেলে। সবার পিছনে দাঁড়িয়ে সবার হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলানো ওর গুণ ছিল। নিজের মত দেওয়ার চেষ্টা করার কথা ভাবনাতে আসলেও প্রকাশ করার ক্ষমতা ছিল না; কারণ তাঁকে সবার সামনে অপদস্ত হতে হয়েছিল আগেরবার। তাই আর সাহস করে বলে উঠতে পারেনি। নিজের মনের কথা গুল চেপে রেখে দিত, ভয় ছিল যদি কারোকে বলি আর সেটা নিয়ে কেউ উপহাস করে বসে, তাই নিজের মধ্যে বাঁচতে শুরু করেছিল। এই ভাবেই কেটে গেল কতগুলো বছর। চুপ করে থাকাটা এক সময় অভ্যাসে পরিণত হল। দিন দিন সে উপলব্ধি করতে থাকে যে তার উপস্থিত গুণ আর অর্জিত জ্ঞান কোন কাজের উপযোগী না। হয়তো তার জীবনের পরন্ত গোধূলির উপস্থিতি ক্ষণিক দূরে বাস করছে। পড়াশুনাটাও ততোটা ভাল চলছিলো না। পড়াশুনা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও ক্ষমতা ...
#MODERNISM স্কুলে পড়াকালীন বন্ধুরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করত, কেননা আমি গালি দিতাম না, কন্ডোম কাকে বলে জানতাম না, সিগারেট খেতাম না, ড্রিঙ্ক করার কথা ভাবতেও পারতাম না। বন্ধুদের চোখে আমি নিতান্তই ভালোমানুষ গোছের গাড়ল ছিলাম। তাদের উপহাসে বিরক্ত হয়ে ক্লাস ১২ এ প্রথমবার ধূমপান করি, নিজেকে স্মার্ট দেখাবার প্রচেষ্টা করি। পরবর্তীকালে সেটা আমার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। নিজেকে 'কুল' প্রমাণ করতে 'ভুল' করে বসি। আমার একজন দূরসম্পর্কের বোন আছে, বয়স বারো কি তেরো। সে বাকী মেয়েদের মত নয়, বেশি মডার্ণ ড্রেস পরেনা, বেশি সাজগোজ পছন্দ করেনা। সে বড় হয়ে আর্মিতে যোগ দিতে চায়। তাকেও এখন থেকেই বাকী মেয়েরা ক্ষ্যাপায়। সে হট প্যান্ট পরতে লজ্জা পায় বলে তাকে জবরদস্তি করা হয়। সে প্রেম টেম করতে চায়না বলে তাকে খ্যাপানো হয়। আমি ভীষণভাবে চেষ্টা করি, সে যেন এসব ফাঁদে পা না দেয় আমার মত। মনেপ্রাণে চেষ্টা করি, সে যেন ভবিষ্যতে আর্মিতে যোগ দিতে পারে। নিজে যে ভুলগুলো একসময় করেছি, আমি চাই সেগুলো যেন বাকীরা না করে। আমি ঠিক জানিনা মডার্ণ হতে গেলে কি কি যোগ্যতা লাগে, তবে এতটুকু বুঝি, ড্রিঙ্ক করে মাতলামি করা, কিংবা ডিস্কোতে ...
এ অভিযোগ শেষ হওয়ার না -- কেন জানো? তুমি আমার একমাত্র পছন্দ হওয়া সত্বেও আমি বোধ হয় তোমার পছন্দের নিরিখের বিবেচনাধীন ব্যক্তিবর্গের অধীন ছিলাম । হ্যাঁ, আজ তুমি হয়তো বেশ খুশি। কিন্তু , আমার অবস্থানের পরিবর্তন যে হয়নি এটা বলা অন্যায় হবে! প্রত্যহ সকালে যখন বিছানার পাশের জানালা দিয়ে দেখি, সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মি নতুন দিনের সূচনা করছে, ঠিক তখনই নীল আকাশের নিচে এক নতুন পথের সূচনাও করে, যা আমার প্রহসনময় জীবনে আশার আলো দেখায়। কিন্তু পুরনো কিছু স্মৃতি উর্বর ভাবনায় আগুন জ্বালিয়ে মোর ব্যক্তিসত্তাকে ধীরে ধীরে নিজের কাছে উপহাসময় করে তুলেছে। তবে আজ উপহাসময় ব্যক্তিত্বহীন সেই আমি, সীমাহীন সমুদ্রে একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে নিজেকে চিনতে শিখছি। হ্যাঁ, এ অনন্য এক পাওয়া।। সিদ্ধান্ত না হয় তুমিই নিও। আমি না হয় কলমের মোড়কে আঁকড়ে ধরে অন্ধকার একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে গেলাম। দু - প্রহরের অবসান কিন্তু গোধূলির আগমনের বার্তা নিয়ে আসে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিয়ে পরন্ত গোধূলির আগমনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে রইলাম।।। কলমে: সেলিম
Comments